পিঁপড়াকে ক্ষুদ্র প্রাণী মানা হলেও কখনো কখনো এই ক্ষুদ্র প্রাণীটিই আবার হয়ে উঠতে পারে জীবননাশের কারণ। এমনই একটি পিঁপড়াকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পিঁপড়া যেটি পাওয়া যায় অস্ট্রেলিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে। এর নাম বুলডগ অ্যান্ট। এই পিঁপড়াটি যখন কাউকে আক্রমণ করে তখন এটি একই সঙ্গে হুল এবং চোয়াল সমান তালে ব্যবহার করে। ১৯৩৬ সাল থেকে শুরু করে বুলডগ পিঁপড়ার কামড়ে মারা গেছেন ৩ জন এবং সর্বশেষ ১৯৮৮ সালে এর আক্রমণের শিকার হয়েছেন ভিক্টোরিয়ান এক কৃষক। আক্রমণের হিংস্রতা এবং শিকারির দিকে স্থির সংকল্পের কারণেই মূলত এর নাম বুলডগ অ্যান্ট। এই পিঁপড়াটি পুরোপুরি আক্রমণাত্দক এবং মানুষকে আক্রমণের সময় বিভিন্নভাবে ভয় দেখায়। কয়েকবার সফলভাবে হুল ফুটানোর পরে মানবশরীরে এটি আক্রমণের জায়গায় বিষ প্রয়োগ করে এবং তার কামড় দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী করে। এর হুলগুলো খুবই ধারালো এবং খাজ কাটা। এর আক্রমণে কোনো পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যুর মুখে পতিত হতে ১৫ মিনিট সময়ই যথেষ্ট। এদের চোখ অন্য সাধারণ পিঁপড়াদের থেকে একটু বেশি বড়। এর দৃষ্টিসীমা ১ মিটার পর্যন্ত। এদের শারীরিক মাপ প্রায় ৪০ মিমি (দৈর্ঘ্য)। এরা সাধারণত ফুলের মধু খেয়েই বাঁচে। এরা মূলত এক রানীর নেতৃত্বে সঙ্গবদ্ধ থাকে। পরবর্তীতে কোনো নতুন বুলডগ অ্যান্ট রানীকে মেরে নিজেই নেতৃত্ব দেয়।