Headlines News :

Blogger templates

আড়াই মাস ধরে সূর্য উদিত ফিনল্যান্ডের নুয়রগামে

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, ফিনল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে প্রায় আড়াই মাস সূর্য কখনোই সম্পূর্ণভাবে অস্ত যায় না! ফিনিশ মিটিওরোলজিকাল ইন্সটিটিউটের কর্তব্যরত আবহবিৎ মি. ইয়ারি তইবোনেন জানান, ফিনল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের শহর উতস্ইয়কি-এর সর্ব উত্তরের 'নুয়রগাম' গ্রামে সর্বশেষ সূর্যোদয় হয়েছে মে মাসের ১৫ তারিখে রাত্র ০১:৩২ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হবে আগামী ২৯ জুলাই রাত্র ১২টা ৪২ মিনিটে। তবে বছর প্রকৃত মধ্যরাতের সূর্য দেখা যায় ২০ জুন শনিবার।
এর ফলে সময়গুলোতে রাতের অন্ধকারের পরিবর্তনে গোধূলির ম্লান আলো বজায় থাকে সারারাত। অঞ্চলের উত্তরাংশেও বছরে দুই-আড়াই মাস সূর্য কখনোই সম্পূর্ণ অস্ত যায় না। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এখানে এই আশ্চর্য অলৌকিক মহাজাগতিক দৃশ্য দেখার জন্য আসেন। রাতের বেলা সূর্যের আলো দেখা সত্যিই এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। আবার শীতের ওই দুই-আড়াই মাস সূর্যই ওঠে না!
পৃথিবীর অক্ষরেখা তার সমতলের ২৩. ডিগ্রি ঝুঁকে যাওয়ার ফলে প্রতিটি গোলার্ধ গ্রীষ্মকালে সূর্যের দিকে হেলে থাকে, আবার শীতকালে সেখান থেকে সরে যায়। ফলে সুমেরু কুমেরু অঞ্চলে বছরের একটি বিশেষ সময় মধ্যরাতেও সূর্য দেখা যায়। কিন্তু যখন কুমেরু অঞ্চলে শীতকাল, তখন দিন রাতের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যায় না। কারণ সূর্য সেখানে ওঠেই না
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, ফিনল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে প্রায় আড়াই মাস সূর্য কখনোই সম্পূর্ণভাবে অস্ত যায় না! ফিনিশ মিটিওরোলজিকাল ইন্সটিটিউটের কর্তব্যরত আবহবিৎ মি. ইয়ারি তইবোনেন জানান, ফিনল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের শহর উতস্‌ইয়কি-এর সর্ব উত্তরের 'নুয়রগাম' গ্রামে সর্বশেষ সূর্যোদয় হয়েছে মে মাসের ১৫ তারিখে রাত্র ০১:৩২ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হবে আগামী ২৯ জুলাই রাত্র ১২টা ৪২ মিনিটে। তবে এ বছর প্রকৃত মধ্যরাতের সূর্য দেখা যায় ২০ জুন শনিবার। - See more at: http://www.bd-pratidin.com/mixter/2015/06/27/90006#sthash.lSPtEkpw.dpuf

যেখানে ছেলেরা পরে বোরকা, মেয়েরা থাকে খোলামেলা

বিশ্বের সর্ববৃহৎ মরুভূমি সাহারা এলাকায় একটি মাতৃপ্রধান রহস্যময় উপজাতি গোষ্ঠীর খোঁজ পাওয়া গেছে। তুয়ারেগ নামের এ উপজাতি সম্প্রদায়ের ছেলেরা বোরকা পরে থাকে। অন্যদিকে মেয়েরা খোলামেলা হয়ে বেড়ায়। পরিবারের দেখাশুনা ও সম্পদে মেয়েদের কর্তৃত্বই শেষ কথা। কেবল মেয়েরাই বিবাহবহির্ভূত একাধিক যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অধিকার রাখে। বুধবারের ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এ খবর দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, চতুর্দশ শতাব্দীর রানী তিন হিনানের মাধ্যমে এ উপজাতি গোষ্ঠীর সূচনা হয়েছে। এখানকার পুরুষরা 'সাহারার নীল মানব' নামে পরিচিত। যাযাবর পুরুষরা নীল রঙের বোরকা পরে সমগ্র শরীর ঢেকে রাখে। ফটোসাংবাদিক হেনরিয়েতা বাটলার ২০০১ সালে মরু অঞ্চলে প্রথম এ ধরনের উপজাতির দেখা পায়। মেয়েরা কেন খোলামেলা থাকে- এমন প্রশ্নের জবাবে তাদের একজন তাকে জানায়, 'পুরুষরা মেয়ের সুন্দর মুখ যাতে দেখতে পায়- সেজন্য এ ব্যবস্থা।' মজার ব্যাপার হচ্ছে, এ উপজাতি নিজেদের ইসলাম ধর্মের অনুসারী বলে দাবি করে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অন্য কোনো মুসলিম জনগোষ্ঠীর জীবনাচারের সঙ্গে তাদের মিল নেই। এখানকার নারীরাই পুরুষদের ডিভোর্স দেয় এবং বিবাহবহির্ভূত একাধিক যৌন সম্পর্ক করতে পারে। তবে তাদের প্রাচীন প্রথায় এ ব্যবস্থা ছিল না।

........................... সংগ্রহ।

ইঁদুরও স্বপ্ন দেখে



মানুষের মত ইঁদুররাও তাদের মস্তিষ্কে চারপাশের মানচিত্র অংকন করে হিপ্পোক্যাম্পাস দ্বারা। হিপ্পোক্যাম্পাস স্বল্প-স্থায়ী স্মৃতির তথ্যসমূহকে একত্র করে দীর্ঘ-স্থায়ী স্মৃতিতে পরিণত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
সেরিব্রাল কর্টেক্সের নীচে এটি পাওয়া যায়। মানুষের মত ইঁদুররাও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে স্বপ্ন দেখে
গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন যে, যখন একটি ইঁদুর তার গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না তখন সে তার গন্তব্যে পৌঁছোবার জন্য স্বপ্নে একটি মানচিত্র তৈরি করে নেয়
এই ধরণের গবেষণার ফলে ঘুমের সময় মানুষের স্বপ্নের মধ্যে কিরূপ ক্রিয়াকলাপ চলে সে সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া সম্ভব বলে গবেষকরা মনে করেন
ইঁদুর একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে যখন থাকে তখন প্লেস সেলস বা অবস্থান কোষ কার্যকর থাকে। ঠিক একইভাবে এই কোষ কাজ করে যখন ইঁদুর ঘুমিয়ে পরে। ঘুমানোর সময় ইঁদুর তার অতীত অবস্থান সম্পর্কে স্বপ্ন দেখে
গবেষকরা ইঁদুরের উপর একটি গবেষণা করার পর দেখতে পান যে ইঁদুর কেবল তার অতীত অবস্থান সম্পর্কেই স্বপ্ন দেখে না বরং সে একইভাবে ভবিষ্যৎ কোথায় যেতে চায় তা নিয়েও স্বপ্ন দেখে
হিপ্পোক্যাম্পাস আমাদের ভবিষ্যৎ কল্পনা করতে সেইসাথে আমাদের অতীত স্মৃতি এনকোডিং করতে সাহায্য করে
কিছু মানুষের হিপ্পোক্যাম্পাস ক্ষতিগ্রস হওয়ার ফলে তারা ভবিষ্যৎ ঘটনা সম্পর্কে কল্পনা কিংবা স্বপ্ন দেখতে পারে না


................................সংগ্রহ।।

পরিযায়ী পাখির উড্ডয়নসূত্র

পরিযায়ী পাখিরা সম্মিলিতভাবে উড়ে চলার পথে একই তালে ডানা ঝাপটায়। উত্তরাঞ্চলীয় গেরোনটিকাস এরেমিটা প্রজাতির সারসজাতীয় পাখির ওপর গবেষণার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
 মধ্য ইউরোপে শিকারিদের কবলে পড়ে সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যায়ে বিলুপ্ত।
 বিলুপ্তির উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন পরিযায়ী পাখি।
 মরক্কোর বনাঞ্চলে এই প্রজাতির প্রায় ৪৫০টি পাখি রয়েছে।
গেরোনটিকাস এরেমিটা
গবেষণার বিষয়
 অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার একটি চিড়িয়াখানায় লালিত ১৪টি পাখি।
 দূরপাল্লার যাত্রাপথ খুঁজে পেতে এদের একটি ক্ষুদ্র আলোকরেখা অনুসরণ করতে শেখানো হয়।
সুপরিচিত ‘ভি’ আকৃতির উড্ডয়নকে পরিযায়ী পাখিদের দীর্ঘ ভ্রমণকালে শক্তি সংরক্ষণের কারণ বিজ্ঞানীরা অনেক আগেই চিহ্নিত করেন, কিন্তু ডানার সুনির্দিষ্ট তাল বজায় রাখার ব্যাপারটি এত দিন পর্যন্ত অজানাই ছিল।
পাখিদের অবস্থান নির্ণয়ে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) প্রযুক্তি ও গতিবৃদ্ধি নির্ণায়ক বিশেষ যন্ত্র ব্যবহূত হয়।
গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার
 নেতার পেছনে অথবা পাশে অবস্থানকারী পাখিরা উড্ডয়নের বাড়তি শক্তি অর্জনের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ডানা ঝাপটায়।
উড্ডয়নকালে ৪৩ মিনিটব্যাপী পাখির অবস্থান এবং ডানার প্রতিটি ঝাপটানির তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ।
ইংল্যান্ডের হার্ডফোর্ডশায়ারের রয়েল ভেটেরিনারি কলেজের গবেষক স্টিফেন পর্টুগালের নেতৃত্বে পরিচালিত ওই গবেষণা প্রতিবেদন নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
চিড়িয়াখানায় লালিত পাখিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের ওপর গবেষণাটি করা হয়।
 ঝাপটানির তালের ঠিক পেছনে অবস্থানকারী পাখিরা পতন ঠেকাতে ভিন্ন ধাপে একই তালে ডানা ঝাপটায়। তরঙ্গাকারে ওই তাল সামনে থেকে পেছনের দিকে সঞ্চারিত হয়।
 পাখিরা প্রায়ই অবস্থান পাল্টে ডানা ঝাপটানোর তালের সময় পরিবর্তন করে নিয়ে উড্ডয়নগতিবিষয়ক সুবিধা পায়।
 বাতাসে অন্য পাখিরা কোনো রকম আলোড়ন তৈরি করলেও পরিযায়ী পাখির দলটি টের পায় এবং সম্ভাব্য ওই আলোড়নের ধরন অনুমান করে নেয়।
সূত্র: নেচার/এএফপি

মহাকাশে নিজের নাম পাঠানোর সুযোগ

মহাকাশে যাওয়ার কথা ভাবছেন? অঢেল অর্থ-সম্পত্তি না থাকলে সম্ভব নয়, তবে আপনার নাম কিন্তু মহাকাশে পৌঁছাতে পারেন খুব সহজেই। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নাসা আপনার নাম মহাকাশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। স্পেস ডটকমের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নাসার গবেষকেরা সারা বিশ্বের সবাইকেই তাদের নাম মহাকাশে পাঠানোর সুযোগ করে দিচ্ছেন। এই নামগুলো একটি বিশেষ মাইক্রোচিপে সংরক্ষণ করে সেটি বিশেষ নভোযানে করে ২০১৬ সালে মহাকাশে পাঠানো হবে। নামসহ গবেষকদের এবারের মিশন পরিচালিত হচ্ছে বেনু নামের একটি গ্রহাণুতে। এটি মনুষ্যবিহীন রোবোটিক্স মিশন।
এক হাজার ৭৬০ ফুট প্রশস্ত গ্রহাণুটিতে দুই বছর রোবোটিক্স মিশন চলবে। এ সময় গ্রহাণুর পৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আবার পৃথিবীতে ফেরত আসবে একটি ক্যাপসুল। গবেষকেরা এই মিশনটির নাম দিয়েছেন ‘অরিজিনস-স্পেকট্রাল ইন্টারপ্রিটেশন রিসোর্স আইডেন্টিফিকেশন সিকিউরিটি রিগোলিথ এক্সপ্লোরার’ (অসিরিস-রেক্স)।
প্রকল্পটির প্রধান কর্মকর্তা অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের  গবেষক ডান্তে লরেটা জানিয়েছেন, ‘আমরা অসিরিস-রেক্স মিশনটি সবার সঙ্গে শেয়ার করতে পেরে রোমাঞ্চিত। মহাকাশে নিজের নাম পাঠানো এবং এই মিশনের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করার অপূর্ব সুযোগ এটি।’
যাঁরা বেনুতে নিজের বার্তা পৌঁছে দিতে চান, তাঁরা এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে নাম পাঠানোর সুযোগ পাবেন। নাম পাঠানোর জন্য যেতে হবে এই লিংকটিতে http://www.planetary.org/get-involved/messages/bennu/

লালমাই পাহাড় চূড়ার চণ্ডীমুড়া

কুমিল্লায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যে কয়েকটি তীর্থস্থান রয়েছে তার মধ্যে চণ্ডীমুড়া ঐতিহ্য অন্যতম। কুমিল্লার আঞ্চলিক ভাষায় অপেক্ষাকৃত ছোট পাহাড়কে মুড়া বলা হয়। পাহাড়ের গায়ে সিমেন্টের সিঁড়ি বেয়ে শীর্ষে উঠে মন্দির দেখার আনন্দই আলাদা। কুমিল্লা শহরের প্রায় ১৩ কিলোমিটার পশ্চিমে কুমিল্লা-চাঁদপুর-বরুড়া সড়কের সংযোগস্থলে দেড়'শ ফুট পাহাড়ের উপরে অবস্থিত চন্ডীমুড়া মন্দির। এটি কুমিল্লার অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। চণ্ডীমুড়ায় ২টি মন্দির পাশাপাশি অবস্থিত। দক্ষিণ পাশের মন্দিরটি চণ্ডী মন্দির ও উত্তর পাশের মন্দিরটির শিব মন্দির। মন্দির দুটো সপ্তম শতাব্দীতে নির্মিত। সপ্তম শতাব্দীর খড়গ বংশীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাজা দেবখড়গের রানী প্রভাবতী একটি হিন্দু মন্দির প্রতিষ্ঠা করে দেবী সর্বাণীর মূর্তি স্থাপন করেছিলেন। রানী প্রভাবতী হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন। চণ্ডীমুড়ার উচ্চতা প্রায় ১৫০ ফুটের উপরে। এর চূড়ায় অবস্থিত এই মন্দির। নিচ থেকে এতে উঠতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৮০টি সিঁড়ি আছে। সমুদ্র বেষ্টিত পলল গঠিত চত্বর সমভূমি রূপে উদ্ভাসিত মহাতীর্থ চণ্ডীমুড়া, সপ্তম শতাব্দীতে বৌদ্ধরাজ দেবখড়গের স্ত্রী প্রভাবতী দেবী অমরকীর্তি স্থাপনে বদ্ধপরিকর হয়ে ২টি মন্দির স্থাপন করেন। একটি চণ্ডী মন্দির, অপরটি শিব মন্দির। চণ্ডী মন্দিরে অষ্টভুজা সর্বাণী মহা সরস্বতী, অপরটিতে শিবমূর্তি স্থাপন করেন। অদূরে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এক বিশাল দিঘি খনন করেন। বরুড়া থানার অন্তর্গত গোষণা গ্রামের স্বামী আত্ননন্দ গিরি মহারাজ স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে পরিত্যক্ত মন্দিরগুলো পুনঃসংস্কার করেন। বর্তমানে সনাতন ধর্মালম্বী ছাড়াও নানা ধর্মের পর্যটক প্রতিদিনই এই মন্দির পরিদর্শনে আসেন। সরেজমিন দেখা যায়, চণ্ডী মন্দিরের পেছনের দেয়ালে লম্বালম্বিভাবে বেশ বড় ফাটল ধরেছে। মন্দির দুইটিতে নতুন রং করা হলেও ফাটল মেরামতের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখানকার কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, প্রতি বছর তিনবার চণ্ডীমুড়ায় ভক্তবৃন্দের সমাবেশ ঘটে। কার্তিক মাসের কালীপূজার সময় দেওয়ানি উৎসব, পৌষ-মাঘ মাসে গীতা সম্মেলন এবং ফালগুন-চৈত্র মাসে বাসন্তী মহাঅষ্টমী। আশ্রমের লোকজনসহ আগত ভক্তবৃন্দের বিশ্বাস-মা চণ্ডী দেবীর কৃপা থেকে কেউ খালি হাতে ফেরে না। ১৯৫৫-৫৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের প্রত্নতাত্তি্বক বিভাগ লালমাই-ময়নামতিতে জরিপ চালিয়ে কুমিল্লার প্রত্নতাত্তি্বক যে ৫৪টি স্থান সংরক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট করে তার মধ্যে চণ্ডীমুড়া অন্যতম।

বিচিত্র গোলাপ গাছ

গোলাপ ফুল সবার কাছেই খুব প্রিয়। রকমারি রং আর গন্ধের জন্য গোলাপের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। আকার-আকৃতিতে গোলাপ গাছ সাধারণত খুব বেশি বড় হয় না। কিন্তু পৃথিবীতে এমন এক গোলাপ গাছ রয়েছে, যার বিস্তৃতি ৫ হাজার ৩৮০ বর্গফুট জায়গাজুড়ে। ব্যাপারটি অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। হ্যাঁ, 'লডি ব্যাঙ্ক' নামের এমনি একটি গোলাপ গাছের সন্ধান পাওয়া গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এরিজোনা প্রদেশের টম্বস্টোন নামক জায়গায়। বিরাট দৈত্যের মতো এই গাছটি জন্মেছে একটি গোলাপ গাছের ডাল থেকে। ওই ডালটা ১৮৮৪ সালে স্কটল্যান্ড থেকে আনা হয়েছিল সেখানে। বিচিত্র এই গোলাপ গাছের গুঁড়ির পরিধি কত হয়তো অনেকে কল্পনা করতে পারবে না। এর গুঁড়ির পরিধি ২০ ইঞ্চি আর উচ্চতা ৯ ফুট। গাছের শাখা-প্রশাখা চারদিকে এমনভাবে বিস্তৃত যে, এর ডালপালাগুলো ৬৮টি খুঁটির সাহায্যে মাচার মতো করে রাখা হয়েছে। বলতে পারা যায় যে, সেটা একটা গোলাপের কুঞ্জবন। আর এই গোলাপকুঞ্জের নিচে দশ-কুড়ি জন নয়, একেবারে দেড়শ' জন বসে চুটিয়ে গল্প-গুজব করতে পারেন। সত্যি কি বিচিত্র এই গোলাপ গাছ।

দ্য বিউটি কুইন অব স্পার্টা হেলেন কাহিনী

খ্রিস্টপূর্ব ১২১৪ অব্দে জিউস ও লিডার ঘর আলোকিত করে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে ছোট অথচ ফুটফুটে একটি শিশু। বাবা জিউস কন্যাশিশুর কথা শুনে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান। মা লিডা বারবার চুমো খেতে থাকে ছোট কন্যাশিশু কপালে।

শিশুটির নাম কি রাখা হবে এ নিয়ে যখন সবাই ব্যস্ত, তখন এক জ্যোতিষী শিশুটির নাম রাখলেন হেলেন! আর বললেন নামের কারণেই মেয়েটি পৃথিবীতে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।



প্রাচীনকালে গ্রিক বিভিন্ন রাজ্যে বিভক্ত ছিল_ স্পার্টা, আর্পস ছিল তার অন্যতম। স্পার্টার রাজার নাম ছিল মেনিলাস, আর্পসের রাজার নাম ছিল আগামেনন। মেনিলাস ও আগামেনন সম্পর্কে ছিল আপন ভাই। মেনিলাসের ছিল একাধিক স্ত্রী। একাধিক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও সে ছিল ভয়ানক নারীলোভী।

অন্যদিকে জিউসের কন্যা হেলেন আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হেলেনের রূপ-লাবণ্য আর আকর্ষণীয় চাহনির সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। এক সময় স্পার্টার রাজা মেনিলাসের কানেও চলে আসে সেই খবর। হেলেনের জন্য পাগল হয়ে ওঠলেন মেনিলাস। প্রায় ৬০ জন প্রহরী নিয়ে হাজির হয় জিউসের বাড়িতে, রাজার অনুরোধ আর বিনয়ে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হয়ে যান জিউস! শুরু হয় নতুন অধ্যায়ের। মেনিলাস বয়সে ৪০ বছরের বড় হলেও জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন হেলেনকে। মেনিলাস হেলেনের জন্য প্রহরী নিযুক্ত করেন প্রায় ৮০ জন, তার গোসল, খাওয়া-দাওয়া, কাপড়-পরিধান এমনকি চুল আঁচড়ানোর জন্যও সেবিকারা থাকত সদাব্যস্ত। হেলেনের মুখের হাসি দেখার জন্য মেনিলাস নানা উপায় অবলম্বন করতেন, কখনো গোলাপ ফুল, কখনো দামি শাড়ি নিয়ে হাজির হতেন হেলেনের সামনে। নানা আয়োজনে হেলেনকে ভালোবাসতে চাইলেও হেলেন মোটেই ভালোবাসতেন না মেনিলাসকে! সব সময় ভিন্ন কিছু পাওয়ার আশায় উদাসীন থাকতেন হেলেন। কালেভদ্রে হাসি ফুটতো হেলেনের মুখে। নিজেকে সব সময় আড়ালে রাখতেই পছন্দ করতেন তিনি। নিজের মনের কথা কখনো কাউকে খুলে বলতেন না।

গ্রিক ও ট্রয় (বর্তমান তুরস্ক) পাশাপাশি দুটি রাষ্ট্র; কিন্তু মধ্যে ছিল এজিয়ান নামক বিখ্যাত সাগর। ১২৩০ সালের দিকে ট্রয়ের রাজপুত্র প্যারিস ও হেক্টর আসে স্পার্টায় ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য। স্পার্টার রাজা মেনিলাস প্যারিস ও হেক্টরকে সাদরে সম্বোধন জানায়। তাদের আগমনে রাজ্যকে লাল-নীল বাতিতে চমৎকারভাবে সাজানো হয়। নৈশভোজের বিপুল সমারোহের পর প্যারিস ও হেক্টরকে সবার সঙ্গেই পরিচয় করিয়ে দেন রাজা মেনিলাস। এক পর্যায়ে হেলেনের সঙ্গে পরিচয় ঘটে রাজপুত্র প্যারিসের। ব্যবসায়িক আলোচনার জন্য স্পার্টায় বিশদিন থাকার প্রয়োজন হয়ে পড়ে প্যাসিস ও হেক্টরের। হেক্টর ও মেনিলাস বেশি ব্যস্ত থাকতেন ব্যবসা-বাণিজ্যের চুক্তি নিয়ে। আর গোপনে সবার চক্ষুর আড়ালে প্যারিস দেখা করতেন হেলেনের সঙ্গে। প্যারিসের চেহারা, গায়ের গড়ন, শরীর কাঠামো সবকিছুই হেলেনকে বিমোহিত করে, প্রথমে রাজি না থাকলেও আস্তে আস্তে প্যারিসের প্রতি প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়েন হেলেন। যাই হোক নির্ধারিত সময় শেষে ট্রয়ে ফিরে যাবেন হেক্টর ও প্যারিস। ভোর হলেই তারা রওনা দেবেন ট্রয়ের উদ্দেশে। রাজা মেনিলাসের আপ্যায়নের কোনো কমতি নেই। খাবার-দাবার আর সুন্দরী রমনীদের নাচের দৃশ্য সাজিয়েছে শেষ নৈশভোজ। নর-নারী, প্রহরী ও হেক্টর, রাজা ও ট্রয়ের অতিথিরা যখন আমোদ-প্রমোদ আর নাচ-গান নিয়ে ব্যস্ত তখন প্যারিস গোপনে চুপিসারে যান হেলেনের ঘরে। নিবিড় আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরে একে অপরকে, ভালোবাসার মধুর রসসিক্ত হয় উভয়ের মণ, প্রাণ ও দেহ। এজিয়ান সাগরের মাঝপথে এসে প্যারিস হেক্টরকে বলেন, হেলেন তাদের সঙ্গে এসেছেন। প্যারিসের কথা শুনে অবাক হয়ে যান হেক্টর! রাগে, দুঃখে, ক্ষোভে চটে যায় প্যারিসের ওপর। নাবিকদের বলে জাহাজ স্পার্টার দিকে ঘুরাতে। কিন্তু প্যারিসের অনুরোধে আর ক্রন্দনে হেক্টর নিজের মত পরিবর্তন করেন। এদিকে স্পার্টার রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে প্যারিস হেলেনকে অপহরণ করে ট্রয়ে নিয়ে গেছে। মেনিলাস পাগলের মতো হয়ে সাহায্যের জন্য হাত বাড়ান আপন ভাই আর্পসের রাজা আগামেননের। আগামেনন গ্রিসের সম্মান ফিরিয়ে আনার জন্য গ্রিসের সব রাজাকে অনুরোধ জানান। প্রায় ১ হাজার জাহাজ নিয়ে ট্রয়ের উদ্দেশে রওনা দেয় গ্রিসবাসী। ট্রয়ে হাসি-আনন্দ ভালোবাসার জীবন আর যৌবনের পূর্ণতা পায় সুন্দরী হেলেন। ট্রয়ে বয়ে যায় হেলেনময়। প্রতিদিন শত শত উপহার উপঢৌকন আসতে থাকে হেলেনের ঘরে। প্যারিস নিজের জীবনের স্বার্থকতা আর ভালোবাসার স্পষ্টতা খুঁজে পায় হেলেনের হৃদয়ে। ভালোবাসার অতল সমুদ্রে ভাসতে থাকে প্যারিস আর হেলেন। হঠাৎ রাজ্যময় বিপদ ঘণ্টা বাজতে থাকে। রাজ্যের প্রজারা-বিপদ সংকেতে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। রাজ্য থেকে হেক্টর ও তার বাবা দেখতে পায় হাজার হাজার জাহাজ নিয়ে গ্রিকরা ধেয়ে আসছে ট্রয়ের দিকে। মুহূর্তে কালো মেঘ নেমে আসে হেলেনের চোখে-মুখে। গোপনে রাতে ট্রয় থেকে পালিয়ে যেতে চান হেলেন। কিন্তু ধরা পড়ে হেক্টরের হাতে। হেক্টর তাকে সাহস দেয়। এতে ট্রয়ে থেকে যান হেলেন। জাহাজ থেকে সর্বপ্রথম নামেন গ্রিকবীর একলিস। নেমেই যুদ্ধ শুরু করেন একলিস ও তার সঙ্গীরা। প্রথম যুদ্ধেই ট্রয়নগরীর বন্দর দখল করেন নেয় গ্রিকরা। এভাবে টানা ১০ বছর বন্দর ও রাজ্য অবরোধ করে রাখে গ্রিকরা। বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধে নিহত হয় একলিসের ভাই উইরোরাস, প্যারিসের বড় ভাই ট্রয়বীর হেক্টর ও নাম না জানা উভয়পক্ষের হাজারও যোদ্ধা। যুদ্ধে সহজে জয়লাভ না করতে পেরে গ্রিকরা প্রতারণার আশ্রয় নেয়। তৈরি করে বিশাল আকৃতির ঘোড়া। যার নাম ট্রোজেন হর্স। ঘোড়ার মধ্যে লুকিয়ে রাখে শত শত সৈন্য। উপহার হিসেবে পাঠায় ট্রয় রাজার কাছে। রাজ্যের বাইরে লুকিয়ে থাকে গ্রিকরা কিন্তু এসবই অজানা থাকে ট্রয়বাসীর কাছে।

মহা-আনন্দে আর উৎসাহে ঘোড়াটিকে রাজ্যের ভেতরে নেয় ট্রয়বাসী। কিন্তু বিধি বাম, গভীর রাতে ঘোড়া থেকে বের হয়ে ট্রয়বাসীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায় গ্রিকরা। গ্রিক সৈন্যরা ট্রয় রাজ্যে ধরিয়ে দেয় আগুন। মুহূর্তের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে ট্রয়নগর। আগুনে পুড়ে হাজার হাজার সৈন্য আর নিরীহ নাগরিক মারা যায় কয়েক। একলিস ছুটে যায় হেলেনকে বাঁচানোর আশায়; কিন্তু প্যারিস তীর বিদ্ধ করে মেরে ফেলে একলিসকে। পালিয়ে যায় হেলেন, জয়লাভ করে গ্রিকরা। কিন্তু যে হেলেনের জন্য এত কিছু তাকে মেনিলাস কাছে পেয়েছিল কিনা তা আজও অজানা।
 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. অজানা বিশ্ব - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Blogger